কী এমন ঘটেছিল সে দিন রাত্রে ,
যার অভিশাপ এখনো পর্যন্ত কাটছে না।
কার পাপে মৃত্যু ঘটছে একের পর এক ।
শারীরিক চাহিদা, তার সাথে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয় সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীদের।
আজ এমন একটা ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছেন যার পেছনে রয়েছে একটা নির্মম নির্যাতনের।
*আমি চিনি* : না না এই রাজবাড়ী আমি কেউ না।
আমার বাবা ছিলেন এই রাজবাড়ীর কুলো পুরোহিত, ছোট বেলায় পুজো করে ছাদ আর ঘরে পুজোর জিনিস রেখে আসার সময় ওখানেই কোনো ভাবে পা স্লিপ করে পরে মারা যান।
মাকে আমি হারিয়েছি তার আগেই , মনেও নেই, তাই আমি এই বাড়িতেই থাকি , ছোটো থেকে এই বাড়িতেই বড়ো হয়েছি।পড়াশুনাটা চালিয়ে গাছি ।
জানেন এই বাড়ির বড়ো মা মানে বড়ো রাজা বাবুর মা খুব ভালো মানুষ।উনি আমাকে ছোট বেলা থেকে দেখছেন , বাড়ির আরও ছেলে মেয়েদের মতোই আমাকেই দেখতেন।
জানেন এই বাড়ীতে কিছু একটা আছে , তবে সেটা কি আমরা কেউ জানিনা , আমার চোখের সামনে কয়েকটা ঘটনা এমন ভাবে ঘটেছে যে আমি আজকে তার কথা আপনাদের শোনাবো।
এই বাড়িতে কোনো কেশবতী সুন্দরী মহিলা নতুন বউ হয়ে আসার পর পর যেনো তিনটে দিন পর হতে না হতেই সে মারা যায় ।
কেনো কিভাবে কেউ জানিনা ,
আগে এই রাজমহলে আলো সাজসজ্জা যেনো গমগম করত সারা বাড়ি ।
এখন আর কিছুই নেই ।
আমরাও বড়ো হলাম আস্তে আস্তে আমার যেনো এই রহস্য সমাধান করার তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে আমার মনে বিরাজ করতে শুরু করলো ।
মনে মনে এটাই ভেবে চলি কেনো এই ভাবে নতুন বউ বাড়ি ঢোকার সাথে সাথে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে
আজকে ছোটো বৌমনির বিয়ের তিন দিন আজকে সেই রাত যেই রাত আর পর হয়তো আর ছোট বৌমনি কে দেখতে পাবো না ।
না!
এটা হতে দেয়া যায়না ।
কোনো মতেই আমি আর মৃত্যু দেখতে পারবো না ।
কিছু একটা করতেই হবে।
এই ভেবে রাত যখন ছোট রাজা এর নতুন বিবাহিত বউ ঘরে ঢুকলো সবাই নিজের মতো ঘরে চলে গেলো ।
আমি চুপ করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকলাম ।
দেখি কি হয় আজকে রাত্রে , কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর আমি যেটা দেখলাম স্তব্ধ হয়ে গেলাম ।
দেখলাম কিছুক্ষণ পর দুজন লোক যেনো আস্তে আস্তে পা ফেলে ওই ঘরের দিকে যাচ্ছে , কালো চাদরে ঢাকা শরীর , লুকিয়ে লুকিয়ে যেনো আস্তে আস্তে দরজায় টোকা দিচ্ছে ,
ছোটো রাজাবাবু দরজা খুলল তাড়াতাড়ি ওরা ঘরে ঢুকে গেলো , আর তারাও দরজাটা বন্ধ করে দিলো ,
ঘরের ভেতর থেকে সোনা গেলো কি করছ তোমরা ছাড়ো ছাড়ো আমাকে ।
আঃ
লাগছে আমার ছাড়ো তোমরা , তুমি আমার স্বামী হও কি করে পারছ আমার সাথে এসব করতে ,
লাগছে আমার ।
আমি এক ছুট্টে গিয়ে ঘরে ঢুকে বৌদির হাতটা টেনে বিছানা থেকে তুলে নিলাম ।
লজ্জা করে না তোমাদের তোমরা একটা মেয়ের সাথে এরম করছ কেনো।আমার কাছে সব টা পরিষ্কার হয়ে গেলো ।
আমার আর আমার বৌদি চিৎকারে বাড়ির সব আলো জ্বলে উঠল ।
বড় রাজা বাবু ঘরে আসে এক টান মেরে সবার মুখের কালো চাদরে মোড়া মুখ গুলো খুলে দিলো।
তোরা ।
ছি!
ছোট দাদা, আর সেজো বাবুর দু ছেলে যাদের সাথে এই বাড়ির রাজকন্যা ঘুরতে গিয়ে ছিল তার তারপর সেখান থেকে ফিরে এসেছিল রাজবাড়ী তে ঠিকই , কিন্তু তাকে প্রাণ ছিল না ।
সে প্রায় বছর 15 আগে তারপর থেকে এই ঘটনা ঘটেছে ।
আর গোলা চেপে এই সত্যি জানতে চাইলো ।
পুলিশ খবর দাউ , এদের তিনজন যেনো কোনো দিন বাইরের মুখ না দেখে ।
বিগত পনেরো বছর যা পাপ করেছে তার শাস্তি পাক ওরা ।
আসলেই এই সব রোগ মানসিক, অন্যের প্রতি ভালো লাগা থাকতে পারে কিন্তু তাই বলে অরূপ আসক্তি আর তারপরে হত্যা এই নির্মম নির্যাতনের ঘটনার সাক্ষী হলাম।

No comments:
Post a Comment