সব কথাই আসলে কথা নয়।কথার মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু অবহেলা যেটা আমরা বুঝেউ না বুঝে থাকি।
আপনারা এত দিন শুনে এসেছেন ভৌতিক কখনও সাসপেন্স আবার কখনও ভালোবাসার মায়াজাল।
আজকে একটা সত্যি ঘটনা আপনাদের কাছে তুলে ধরি ।যেটা আপনি আমি সকলের সাথে কখনো না কখনো হয়ে থাকে ।
আচ্ছা আপনারাই বলুন না কখন কারোর কোথায় আপনারা আঘাত পাননি , হয়তো লোক জন বলবে তোকে তো মারে নি , তোর গায়ে তো হাত তোলেনি শুধু জোর গলায় কথা বলেছে , তাতে আর এমন কি ।
কি তাইতো?
আবার আমরাই লোক জন জেনে যাবে, লজ্জার ভয়েও এটা আমরা এড়িয়ে চলি।লোক জানাজানি হয়ে যাবে যে তার ভয়ে।
আসুন না আজকে একটু আমার নিজের কথা বলি। কিছু টা লজ্জা কাটিয়ে ভয় কাটিয়ে একটু আওয়াজ তুলি।
আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় সাত বছর হলো ।আমার মেয়ে এখন পাঁচ বছর । স্কুল ও পরে, সেই সূত্র ধরেই আমার মেয়ের কিছু বন্ধুর মায়ের সাথে আলাপ হয় ।
আমার বিয়ে হইছে প্রেম করে স্কুল এ যখন পড়তাম পরিচয় হয়েছিল আমার আর মিষ্টির বাবা , তার পর স্কুল পেরিয়ে কলেজ তার পর চাকরি পাবার পর আমাদের বেশ ধুম ধাম করেই বিয়ে টা করি ।
জানেন তার পর থেকেই শুরু হয় বৌমা তুমি এই কাজটা পারো না , বৌমা সারাদিন ঘরে বসে বসে কি করো , আজকের রান্না মুখে দেয়া যাচ্ছে না এই টুকুও কি শিক্ষণি , কানে কি কথা যায়না এসব এর সাথে কিছু গালা গালি, এসব শুনতে শুনতে আমার ও একটা অভ্যাস হয়ে গেছে , যদি বাপের বাড়ি তে একদিন আর বেশি থাকি কিরে শশুর বাড়িতে কিছু হইছে , মা আজকের খাবার খায়নি ওটা ভালই হয়নি তাই ডাস্টবিন এ ফেলে দিয়েছি ।
এসব কথা কোনো দিন কাউকে বলতে পারিনি , তবে একটা চাপা কষ্ট ভেতরে ভেতরে জমা হতেই থাকে ।
বিয়ের পর এসব শুনতে হবে এটাই হয়তো স্বাভাবিক।
সেদিন মেয়ে কে আনতে গিয়েছি ওর বন্ধুর মা এর গলায় একটা লাল দাগ আমি বললাম কি হইছে গো ?
তোমার চোখ মুখ এরম লাগছে কেনো ?
কিছুটা ইতস্তত হয়েই ও আমার দিকে একটু তাকিয়েই যেনো খুব তাড়াতাড়ি ওড়না টা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিলো ।
আমিও এড়িয়ে গেলাম , তারপর মেয়েকে স্কুল এ দিয়ে আমরা বসলাম , ও বলছে আচ্ছা তোমরা কখনও আঘাত পাউনি কারো থেকে,দু এক কথা হতে হতে ও বললো কালকে রাত্রে খাবার ভালো হয়নি তাই আমার মেয়ের বাবা আমাকে অনেক জোরে আঘাত করে ।তোমাদের তো ভালো কেউ আঘাত দেই না, কেউ মারে না তোমাদের।
সবাই চুপ সত্যি কি তবে কেউ আঘাত পাইনা?
আমি বললাম জানো গায়ে হাত তুললে বা মারলেই সেটাই শুধু আঘাত নয় , অনেক কথা আছে যেটা গায়ে হাত তোলার থেকেও অনেক বেশি কিছু।
আস্তে আস্তে যেনো সবাই সবার নিজেদের মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা কথা গুলো সবাই বলতে শুরু করেছে ।
ওদের মধ্যেই কেউ বলে উঠলো আমার শশুর বাড়ির কিছু মানুষ আমাদের পছন্দ করেই না ,
আমার গায়ের রং কালো তাই নাকি আমাকে নিয়ে ওরা রাস্তায় চলতে পারে না ।
স্নেহার মা বললো কাল রাত্রেই আমাকে আমার হাসব্যান্ড বলল আমি নাকি ছোট ঘরের মেয়ে তাই তার অফিস এর বন্ধুর সাথে মেলা মেসা করতে বাঁধা দিই।
ওরা কেউ বোঝে না যে আমাদের মনের অবস্থা।
ওরা কেউ ভাবে না আমরা এই কথাই কত টা আঘাত পাই ।
যাদের ভালো খারাপ সারাক্ষণ আমরা নজর করি , সারাদিন তাদের জন্য ভাবনা চিন্তা করি তারা ভাবে না আমাদের এটা মোটেই ভালো লাগে না।
আসুন না একটু আওয়াজ তুলি আমরাও গর্জে উঠি ।
আমরা যাদের নিয়ে এত ভবি তারাও আমাদের নিয়ে একটু ভাবুক ।
যদি আপনাদের মনে এরম কিছু কথা লুকিয়ে থাকে কমেন্টে জানাবেন ।
একজন প্রতিবাদ করলে হবে না , আমাদের সবাইকে সবার পাশে থাকে এই কথা গুলো বন্ধ করি ।

No comments:
Post a Comment