Breaking

Wednesday, July 2, 2025

অভিশপ্ত ফ্ল্যাটের রহস্য: দুর্ঘটনা না খুন?

এটা খুন নাকি আত্মহত্যা,
কি আছে এই রহস্যে..
সমাধান কি আমরা করতে পারবো ?
সত্যি বলতে এখন আমাদের মনে এত রাগ হিংসা, হয়ে গিয়েছে যে আমরা নিজেদের মনুষত্ব টাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।একটা প্রাণ যখন শেষ হয়ে যায় তার কষ্ট উপলব্ধি সহজ ব্যাপার না ।

 শুনেছিলাম ছেলে মেয়েরা বড় হলে নাকি বাবা মা র পাশে এসে দাঁড়ায় , বাবা মা তার উপর নির্ভরশীল হয়ে যায় ।

কিন্তু এই যুগে এসে এখন কার ছেলে মেয়েরা ভাবেন বাবা মা কে রাখা মনে হলো একটা বোঝা,  

আমি হোস্টেল থাকি , এখন কলেজ শেষ হয়নি । আমরা যেই হোস্টেল থাকতাম ওনারা থাকতো উপর তলায় আর নিচের দুটো তলায় হোস্টেল বানিয়েছিল ।আমরা ওখানেই থাকি ।

বাড়ির মালিক যিনি ছিলেন ওনার স্বামী মারা গেছে প্রায় দুই বছর আগে আর এখন উনি ওনার ছেলে আর তার বৌমা থাকেন ।
আমরা প্রায় দেখতাম ওনার ছেলে বৌমা নিয়ে অনেক ঝামেলা হচ্ছে , আমরা যদিও কখনও জিজ্ঞাস করে দেখিনি।


কালকে কলেজ থেকে ফিরার সময় দেখলাম হোস্টেল আর সামনে অনেক ভিড় জমায় হইছে , আমি ছুটে গিয়ে দেখি একটা বয়স্ক মহিলার রক্ত মাখা শরীর রাস্তার উপর পড়ে রয়েছে ।
কয়েক জন আসে যখন ওনাকে পাস ফিরে সোয়ায় দেখলাম উনি আমাদের হোস্টেল এর মালিক ।
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যায় ।

মা কি হয়েছে তোমার ....
এই বলে ওনার ছেলের বৌমা চিৎকার করতে করতে বাইরে আসে আর পাড়ার লোক জমায়েত করছেন ।

এত ভালো বাসা তো আমি কতদিন এ একবারও দেখিনি, যখন ওনাদের দেখেছি শুধু অশান্তি করতেই দেখেছি ।আজ খাবার নিয়ে তো কাল জল নিয়ে , কখনও কখনও এটাই শুনতে পেতাম এই বুড়ি কে কোনো বৃদ্ধাশ্রম এ রেখে উনি এই বাড়ি বিক্রি করে নতুন ফ্ল্যাট বাড়ি নেবে , 
আজকে সকালেই শুনছিলাম মাছ ভাজা খেতে চেয়েছিল উনি এই নিয়ে পুরো সকাল টাই অশান্তি চলে , 
তাহলে এখন উনি এত ভালোবাসা কেনো দেখাচ্ছেন ?

আমি কাউকে কিছু না বলে পুরো ঘটনা টা দেখতে থাকলাম ।
পুলিশ এলো বলল এসব কি করে হইয়েছে , বৌমা ছেলে মিলে বলল মা ছাদ এ জামা কাপড় মিলতে গেছিলেন, তখন নাকি কোনো ভাবে পা পিছলে উনি পড়ে জান।

পুলিশ ও শুনে সব কিছু তদারকী করে চলে যান , এটা একটা এক্সিডেন্ট ভেবেই ওনারা আর কিছু কথা বাড়ায়নি ।

আমিও সারাদিন আর ক্লান্তি পর। একটু রুম আসে বসলাম , একটু শুতে যাবো চোখ বন্ধ করতেই মনে হলো কেউ যেন বলছে আমি মরতে চাইনি বাবা ,
ওরা আমকে শেষ করেছে কাউকে ছাড়িস না বাবা ...


আমি এক ঝটকায় উঠে বসে পরলাম আমার মনে হলো এই মৃত্যু টা কি সত্যি একটা এক্সিডেন্ট নাকি কোনো রহস্য রয়েছে  
এর সমাধান করতেই হবে,

পরের দিন সকালে দেখলাম কয়েকজন লোক এসেছেন উপর তলায় হাতে একটা সুটকেস , আমি তড়িঘড়ি করে ওদের পেছনে পেছনে উঠতে শুরু করলাম ।

জানালার পাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যা দেখলাম আমার চোখ কেউ বিশ্বাস করতে পারলাম না , 

ফোন এর ক্যামেরাটা আমি ওদের দিকে ধরে রইলাম আমার হাত কাঁপেছে...

এই সুটকেস এ যাহ টাকা আছে ভালো করে গুণে নিন।
এই বাড়ির মূল্য এর থেকে এর বেশি নয় নিশ্চয়, কালকের মধ্যে বাড়ি খালি করে দিতে বলুন আমি এখানে একটা ফ্ল্যাট বাড়ি বানাবো, 


 হঠাৎ ওনার বৌমা বলল হ্যাঁ হ্যাঁ গুনছি কত দিনের স্বপ্ন ছিল যে আমরা ফ্ল্যাট বাড়ি তে থাকবো, যতদিন ওই বুড়ি এখানে ছিল আমাদের করতেই দিচ্ছিল না , 
টাই তো কালকে যখন জামাকাপড় মিলতে যায় আমি পেছন থেকে একটা ধাক্কা দিতেই উনি পড়ে সাথে সাথে মারা যান , ব্যাস আমাদের কাজ ও হয়ে গেলো।

কি একটা হাঁসি প্রচণ্ড জোরে জোরে সবাই মিলে হাসছে , 

আমি আর একমুহুর্ত ওখানে না দাঁড়িয়ে বেরিয়ে একেবারে পুলিশ এর কাছে গিয়ে সব টা দেখায় , 

এখন ওনারা সবাই জেল বন্দী,অপঘাতে মারা গিয়েছেন উনি , যে কাজ গুলো একটা ছেলে মেয়ের করার দরকার ছিল সেগুলো আমরা হোস্টেল কিছু জন মিলে করব , তার ই আয়োজন করছি ।

 সবার কাছে একটাই অনুরোধ রইলো বাবা মা কোনোদিন কারো বোঝা হতে পারে না , 
বাবা মা থাকা হলো একটা আশীর্বাদ।।
মা বাবার সম্মান করুন যে বাবা মা তার সবটুকু দিয়ে একটা সন্তান কে মানুষ করেন তার অবমাননা করবেন না ।

No comments:

Post a Comment

Advertise Here
728 × 90 Leaderboard | Reach thousands daily
📩 Contact Us