🕯️ “গাড়ি এসে গেছে... নে রে তাড়াতাড়ি ব্যাগগুলো নিয়ে নে!”
ঠিক এই শব্দগুলোর মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল আমাদের যাত্রা—একটা অদ্ভুত, রোমাঞ্চকর এবং সম্ভবত… ভয়ংকর অভিজ্ঞতার দিকে।
🎒 রওনা দেওয়ার মুহূর্ত:
আমি মিষ্টি, বয়স ২৫, কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে থাকি। আজ আমরা যাচ্ছি আমাদের গ্রামের বাড়ি।
যদিও এখন সেখানে কেউ থাকে না, এই বাড়ি ছিল এক সময় আমাদের দাদুর রাজত্ব। তিন বছর হলো উনি নেই।
আমাদের পরিবার ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন শহরে—দিল্লি, কলকাতা, হাওড়া। কিন্তু পুজোর সময় সবাই ছুটে আসে একত্রে, বড়মার পুজোর টানে।
এই পুজো শুধুই একটা উৎসব নয়—এ যেন পরিবারের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং একটা রহস্যের ধারক।
🕯️ বড়মার পরিচয়:
বড়মা? উনি হলেন আমাদের ঘরের মা কালী।
তাঁর মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল দাদুর স্বপ্নে—ছোট, কালো পাথরের, কিন্তু ত্রিনয়নী!
শোনা যায়, এই মূর্তির কপালের তৃতীয় চোখে বসানো হীরে আর সোনার টুকরো ভবিষ্যত দেখতে পারে।
সেই থেকেই শুরু হয় পুজো:ঢাক, বাজি, সানাই, আর অদ্ভুত কিছু... যা সময়ের সঙ্গে চাপা পড়ে গেছে।
🚘 আমাদের যাত্রা
দু'টি গাড়িতে ভাগ হয়ে আমরা রওনা হলাম—
আমাদের গাড়ি: আমি, আমার ভাই আয়ন (১৪), বোন বর্ষা, মা আর কাকিমা।
দ্বিতীয় গাড়ি: বাবা, কাকু, পিসি, পিসেমশাই, আর আমার খামখেয়ালী দিদিভাই শুভ্রা।
শুভ্রা একটু চুপচাপ। নিজের মধ্যে থাকতেই পছন্দ করে। ওর চোখে একটা রহস্যময় ঘন কুয়াশা জমে থাকে সবসময়…
🏡 অবশেষে ছয় ঘণ্টার পথ শেষে পৌঁছলাম বাড়ি।
বাড়ির কেয়ারটেকার, রোমা মাসি ও কানাই কাকা, ছুটে এলেন।
"দাদাবাবু এসেছেন! এক বছর পর!"
আয়ন কে দেখে রোমা মাসির চোখ চকচক করে উঠলো—একটা অদ্ভুত উষ্ণতা আর অস্বস্তি একসঙ্গে।
কাকিমার মুখে লেগে রইলো একটা চাপা অস্বস্তি।
কাকী মা কে কোনো কথা না বলতে দিয়ে কাকা বলে উঠলো চলো সবাই অনেক টা পথ এসেছো ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে একটু বিশ্রাম নাও।
মা বললো আগে বড় মা কে প্রণাম করে যে যার ঘরে যেও।
🪔 মণ্ডপে পা, আর অদ্ভুত গাড়ির শব্দ:
মা আর কাকী মা দুজন মিলে পুজোর আয়োজন করছে।
সন্ধ্যা নামছে। আমরা সবাই মণ্ডপে গিয়ে বসে আছি।
আরো অনেক আতীয় স্বজন এর সমাবেশ ।খুব আনন্দ হচ্ছে ।
হঠাৎ এক গাড়ির শব্দ—
আমরা বাইরে গিয়ে দেখি
জেঠু, দাদা ভাইরা এসে গেছে।
এবছরের নতুন অতিথি আমার বৌদি ভাই ।যদিও এই নিয়ে বৌদি ভাই দুবার আসলো একবার বিয়ের পর পর এসেছিল । এক বছর পর আবার সবাই একসাথে।
"মেজো, সিন্দুক খুলেছিস? মা এর সব গয়না বার করেছিস?"
জেঠুর গলা কড়া, চাপা ভয় তৈরি করে দেয়।
"না না... তুমি আর বাড়ির বড়ো বৌমা নেই। আমি কীভাবে খুলি বলো?"
এই কথাগুলো যেন একটা চাপা আতঙ্কের জন্ম দেয়।
সিন্দুক, গয়না, আর ত্রিনয়নী—সব যেন এক অজানা রহস্যের অংশ।
🌄 পরদিন ভোরে…
শুরু রহস্যের দ্বার উন্মোচন
সকালে সবাই স্নান সেরে জড়ো হলাম দালান ঘরে।
আজ সিন্দুক খুলবে।
এক বছর ধরে তালা বন্ধ। এখন গয়না শোধন হবে, তারপর মা কে সাজানো হবে ।
সত্যি বলতে এই গয়না দেখার ইচ্ছে সবার ।এই গয়না পুরোনো আমলের। পুরোনো সোনা আর হীরে বসানো ।
সোনার টিপ, টানা নথ, শাঁখা পলা, চুড়ি-বালা…
আর সেই বিশেষ ত্রিনয়নী, যার চোখে বসানো হীরে!
মা একটা সাদা লাল পাড় শাড়ি পরে চাবি নিয়ে আসলো ।
এখানে বলে রাখি আমার মা মেজো কিন্তু আমার বড়ো জেঠিমা একটু আধুনিকা তাই পুজোর কাজ মা করেন ।
কাকা আর দাদাভাই মিলে সিন্দুক খুললো ।
একে একে সব গয়না বার করে রাখা হলো একটি লাল কাপড়ের উপর ।
কি অপরূপ সোভা তার ...
এর পর বেরোলো সেই ত্রিনয়নী বাক্স।
ওটা রুপোর বাঁধানো ...
একি এ বাক্স যে ফাঁকা ।...
মা এর ত্রিনয়নী ......
কাকা চিৎকার করে উঠলো সাথে মা .....
আমরা থমকে গেলাম ..
কোথায় গেলো সেই ত্রিনয়নী , ত্রিনয়নী ছাড়া পুজো যে অসম্ভব।
এটা কি সত্যি চুরি নাকি লুকিয়ে আছে অতীতের কোনো ভয়ংকর সত্য?
👀 কী অপেক্ষা করছে সামনের দিনগুলোতে?
দাদুর স্মৃতিতে কি লুকিয়ে আছে অতীতের কোনো অপরাধ?
আর শুভ্রার চোখে কেন জমে আছে এমন অদ্ভুত দৃষ্টি?
জেঠু কেনই বা আসে জিজ্ঞাস করলো সিন্দুক এর কথা ?
রোমা মাসি কানাই কাকা কি সত্যি কিছু জানেন না।
কি হবে এর পরিণতি?
📍 এই তো শুরু…
Part 2 আসছে শীঘ্রই — যেখানে প্রথম আঘাত আসবে… হয়তো সেই রাতেই!
📌 পড়তে থাকুন, শেয়ার করুন, আর সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ব্লগে আরও বাংলা থ্রিলার গল্পের জন্য।
No comments:
Post a Comment